চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। উল্লিখিত সময়ে রফতানি খাতে আগের অর্থ বছরের (২০১০-১১) একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৩ শতাংশ। একক মাস হিসেবে অক্টোবর মাসে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবি’র তথ্য অনুসারে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে মোট ৮ হাজার ১১৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। গত ২০১০-১১ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-অক্টোবর) মোট রফতানি হয়েছে ৬ হাজার ৭২১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অক্টোবর মাসে ১ হাজার ৯৫৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই রফতানির পরিমান ছিল ১ হাজার ৬৯৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরাবরের মত রফতানি আয়ে শীর্ষে রয়েছে নীটওয়্যার ও ওভেন খাত। গত চার মাসে নীটওয়্যার খাতে রফতানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৬ মিলিয়ন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। ওভেন খাতে ২ হাজার ৯৩৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে যা পূর্বের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। তবে উল্লিখিত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়নি। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
গত চার মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি থেকে এসেছে প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা। তবে একই সময়ে হোম টেক্সটাইল ও পাদুকা রফতানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ দুটি খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪২ শতাংশ করে। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে এ দুটি খাত থেকে মোট রফতানি হয়েছে যথাক্রমে ২৫০ ও ১৩৯ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া জাহাজ রফতানি থেকে গত চার মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি প্রবৃদ্ধি ৯০০০ শতাংশ! জাহাজ রফতানিতে বিগত চার মাসে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমান ছিল মাত্র দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে বৃহত্ জাহাজ রফতানি করায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলো। আগামি মাসগুলোতে জাহাজ রফতানি থেকে আরো বেশি পরিমানে রফতানি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত চার মাসে প্রবৃদ্ধির তালিকায় থাকা অন্যান্য খাত হলো, হিমায়িত খাদ্য ২১ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্য ২৭ শতাংশ, উত্পাদিত সামগ্রীর মধ্যে পেট্রোলিয়াম উপজাত রফতানিতে ১৮ শতাংশ, চামড়া ২৮ শতাংশ, প্রকৌশল পণ্য ২৪ শতাংশ।
তবে একই সময়ে পূর্বের অর্থবছরের তুলনায় কম রফতানিআয়ের খাত হলো কাঠ ও কাঠজাত দ্রব্য (১২ শতাংশ), কটন ও কটন পণ্য (৫ শতাংশ), ম্যান মেড ফিলামেন্ট ও এন্ড স্টেপল ফাইবার (৬ শতাংশ), টেরি টাওয়েল (৩০ শতাংশ), কাঁচা পাট (৬ শতাংশ), ক্যাপ, গ্লাস ও গ্লাস ওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিল ওয়্যার সামগ্রী।
|