|
|
Dr. Bimol Shah |
Chief Journalist, Daily Miror |
Tel : 8824578, 9894578 |
Mobile : 01819 254678 |
E-mail : bimol@gmail.com |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
করদাতাদের সচেতন করার তাগিদ |
করদাতাদের অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিলে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। গত ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে এ পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি কর অঞ্চলের জন্য সুযোগ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু করদাতাদের এ পদ্ধতিতে সচেতনতার অভাব ও অহেতুক ভয় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়। তবে এ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সুবিধা বুঝিয়ে তাদের ভয় দূর করা গেলে করদাতাদের মধ্যে এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে কর অঞ্চল-৮ এর করদাতাদের এ সুবিধার আওতায় আনে। এ কর অঞ্চলে প্রায় ১৭ হাজার ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা রিটার্ন দাখিল করে থাকেন। এর মধ্যে চলতি বছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল ১ হাজারও হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই অঞ্চলের ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের বেশিরভাগই ডাক্তার ও আইনজীবী।
প্রথমত, এটি একেবারেই নতুন পদ্ধতি বলে অনেক করদাতা এ ব্যাপারে সচেতন নন। ফলে তাদের অনেকেই ধারণা করছেন তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ও সম্পদের পরিমান সাধারণের কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল হলেও ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু না হওয়া ও এতে জটিলতা থাকায় করদাতাদের অন্ততপক্ষে প্রথমবারের মত কর অঞ্চলে আসতে হয়। এই অবস্থায় করদাতারা কর বিবরণী দাখিলের জন্য তাদের আইনজীবীদের সহায়তা নেন বা আয়কর মেলায় এসে কর কর্মকর্তাদের সহায়তায় আয়কর রিটার্ন দাখিলকে বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে করদাতার সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হয়। এ পদ্ধতিতে কর দাখিলের ফলে কর অঞ্চল বা সার্কেলের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পেছনে ঘুরতে হয় না। সেই সাথে করদাতার সম্পদের তথ্যও অন্য কারো জানার সুযোগ নেই। সে জন্য করদাতা ও এনবিআরের জন্য এ পদ্ধতিটি চালু রাখা প্রয়োজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেখানেও অনলাইনে আয়কর বিবরণী দাখিলের এই পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে। এই পদ্ধতিটি বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠা পেতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করেন তারা। তবে এ জন্য করদাতাদের সচেতন করার প্রতি জোর দিতে হবে। এ লক্ষ্যে এ পদ্ধদিতে রিটার্ন দাখিলের বিষয়কে আরো সহজ করার পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। বিশেষত করদাতাদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি এ পদ্ধতিতে নিরাপত্তার সাথেই সংরক্ষিত হয়-এ সত্যটি তাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, রাতারাতি এ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল বাড়বে না। এ জন্য কিছু সময় লাগবে। করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকা ও আয়কর মেলায় বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেয়ায় চলতি বছর এ পদ্ধতিতে প্রত্যাশিত রিটার্ন দাখিল হয়নি। তবে করদাতাদের সচেতন করা গেলে এবং ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করা গেলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
উল্লেখ্য, করদাতাদের কর প্রদানে হয়রানি কমাতে ও স্বচ্ছন্দে কর রিটার্ন দাখিলের লক্ষ্যে গত অর্থবছর থেকে পাইলট পদ্ধতিতে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি চালু করে এনবিআর। অর্থমন্ত্রী নিজে এই পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যমাত্রার সাথে এটির মিল থাকায় তাদের তরফ থেকেও সার্বিক সমর্থন ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। |
|
|
|
|
|
|
Digital bangladesh Features |
Ads Search
Job Search
Information Zone :
|
|
|
|
|
|
|